শনিবার, ২৮ Jun ২০২৫, ১০:০৮ অপরাহ্ন
খেলাধুলা ডেস্ক:
নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪ দিয়ে এবারই প্রথম কোনো আইসিসি ইভেন্টে ব্যবহৃত হবে ‘স্মার্ট রিপ্লে সিস্টেম’। দ্য হানড্রেড ও আইপিএলে ব্যবহার হওয়া এ প্রযুক্তির অধীনে ২৮টি ক্যামেরার সহায়তায় মাঠে থাকা আম্পায়ারদের তাৎক্ষণিক তথ্য দিতে থাকবেন দুই হকআই অপারেটর। এছাড়া ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস) তো থাকছেই। বুধবার বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় আইসিসি।
আরব আমিরাতে বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে এবারের আসর। ২৩ ম্যাচের সবগুলোতেই থাকবে ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস)। ম্যাচগুলোর সম্প্রচার আরও সুন্দর করতে মাঠে ব্যবহৃত হবে অন্তত ২৮টি ক্যামেরা। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘টিভি আম্পায়ারকে নিখুঁত সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করার জন্য ডিআরএসে এবার হক-আই স্মার্ট রিপ্লে সিস্টেম থাকবে। যার ফলে তাৎক্ষণিকভাবে বিভিন্ন এঙ্গেল থেকে ফুটেজ পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন আম্পায়াররা।’
যুদ্ধের রাতে ইসারয়েলি গোলকিপারকে বোকা বানালেন ইরানি ফুটবলারযুদ্ধের রাতে ইসারয়েলি গোলকিপারকে বোকা বানালেন ইরানি ফুটবলার
স্মার্ট রিপ্লে সিস্টেমের অংশ হিসেবে টিভি আম্পায়ারের কক্ষে দুজন হক-আই অপারেটর সার্বক্ষণিক উপস্থিত থাকবেন। তারা সারা মাঠজুড়ে থাকা ৮টি উচ্চগতি সম্পন্ন হক-আই ক্যামেরার ফুটেজ টিভি আম্পায়ারকে তাৎক্ষণিকভাবে সরবরাহ করবেন। ফলে তৃতীয় আম্পায়ার ও হক-আই অপারেটরদের মাঝে সংযোগ স্থাপনের জন্য এখন আর টিভি ব্রডকাস্ট পরিচালকের প্রয়োজন পড়বে না। এখন যে কোনো বলের রিপ্লে দেখতে নিজের কক্ষে থাকা হক-আই পরিচালনা ব্যক্তিদের কাছ থেকে সরাসরি ফুটেজ পেয়ে যাবেন টিভি আম্পায়ার।
স্টাম্পিংয়ের আবেদন দেখার ক্ষেত্রে স্মার্ট রিপ্লে সিস্টেমে ‘ট্রাই-ভিশনের’ মাধ্যমে সাইড-অন ক্যামেরার পাশাপাশি একই ফ্রেমে ফ্রন্ট-অন ক্যামেরার ফুটেজও দেখতে পাবেন টিভি আম্পায়াররা। ফলে ঠিক কোন সময় বেলস পড়েছে তা বুঝতে আরও সুবিধা হবে। আগের নিয়মে সাইড-অন ক্যামেরার পাশাপাশি স্টাম্প ক্যামেরার ফুটেজ দেখাতেন ব্রডকাস্টাররা। স্টাম্প ক্যামেরায় প্রতি সেকেন্ডে ৫০ ফ্রেমের ফুটেজ পেতেন আম্পায়াররা। এখন হক-আই ফ্রন্ট-অন ক্যামেরার ব্যবহারের ফলে প্রতি সেকেন্টে ৩০০ ফ্রেমের ফুটেজ পাওয়া যাবে। ফলে সিদ্ধান্ত হবে আরও নিখুঁত!
সিরিজসেরা অশ্বিনকে সরিয়ে এক নম্বর বোলার বুমরাসিরিজসেরা অশ্বিনকে সরিয়ে এক নম্বর বোলার বুমরা
গত আসরের মতো এবারও আম্পায়ার প্যানেলের পুরোটাই সাজানো হয়েছে নারীদের নিয়ে। তবে আসরের সফলতা নির্ভর করবে দিনশেষে মাঠের ক্রিকেটেই। ব্যাট-বলের দামামার মাঝে উত্তেজনার পারদ যতখানি তুঙ্গে উঠবে ততটাই সাফল্যের স্বীকৃতি পাবে নারীদের ক্রিকেট। নতুন আরেকটি বিশ্বকাপে বিশ্বমানের খেলা, নতুন প্রতিভাদের ঝলক এবং রোমাঞ্চ মিলিয়ে জয় হোক নারী ক্রিকেটের।
ভয়েস/আআ